কৃমির ঔষধ: কোন বয়সে কোন ওষুধ, ডোজ ও নিয়ম আলোচনা করা হলো
বাংলাদেশ বা আমাদের এই উপমহাদেশে কৃমি একটি খুবই সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক—পরিবারের যে কেউ যেকোনো সময় কৃমি দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন। পেটে ব্যথা, অরুচি, শরীর শুকিয়ে যাওয়া কিংবা পায়ুপথে চুলকানি—এগুলো কৃমির খুব পরিচিত লক্ষণ।
অনেকে মনে করেন কৃমি কোনো বড় রোগ নয়, তাই ফার্মেসি থেকে ইচ্ছামতো ঔষধ কিনে খেয়ে ফেললেই হলো। কিন্তু একজন ডাক্তার হিসেবে আমি বলব, এই ধারণাটি ভুল। কৃমির ঔষধ খাওয়ারও নির্দিষ্ট নিয়ম, ডোজ এবং সময় আছে। ভুল নিয়মে ঔষধ খেলে কৃমি তো মরেই না, বরং উল্টো স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে।
এই কারণে সঠিক কৃমির ওষুধ, কখন খেতে হবে, কতদিন পরপর খেতে হবে, কোন বয়সে কোন ওষুধ নিরাপদ, এসব জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কৃমি কি এবং কেন হয়? (What are Worms?)
কৃমি হলো এক ধরণের পরজীবী (Parasite), যা মানুষের অন্ত্রে বা পেটে বসবাস করে। এরা আমাদের শরীর থেকে পুষ্টি চুষে নিয়ে বেঁচে থাকে। ফলে আমরা যা খাই, তার পুষ্টি আমাদের শরীরে লাগে না, বরং কৃমি খেয়ে ফেলে। সাধারণত তিন ধরনের কৃমি বেশি দেখা যায়:
১. রাউন্ডওয়ার্ম (Roundworm)
এটি দেহে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। সাধারণত মাটি, মলমূত্র দূষিত খাবার বা পানির মাধ্যমে ছড়ায়।
২. হুকওয়ার্ম (Hookworm)
পায়ের ত্বক ভেদ করে শরীরে ঢোকে। যারা খালি পায়ে হাঁটে তাদের মাঝে এটি বেশি দেখা যায়।
৩. টেপওয়ার্ম (Tapeworm)
অপরিষ্কার বা আধা সেদ্ধ গরু/ছাগল/গরুর মাংস থেকে ছড়ায়।
৪. পিনওয়ার্ম (Pinworm)
শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়
কৃমি সংক্রমণের প্রধান কারণগুলো হলো:
১. অপরিচ্ছন্ন হাত: খাওয়ার আগে বা টয়লেট ব্যবহারের পর সাবান দিয়ে হাত না ধোয়া।
২. দূষিত পানি ও খাবার: না ফুটিয়ে পানি খাওয়া কিংবা ভালোভাবে না ধোয়া শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়া।
৩. অর্ধসেদ্ধ খাবার: মাছ বা মাংস ভালোভাবে সেদ্ধ না করে খাওয়া।
৪. খালি পায়ে হাঁটা: মাটির সংস্পর্শে খালি পায়ে হাঁটলে হুকওয়ার্ম (Hookworm) পায়ের চামড়া ভেদ করে শরীরে ঢুকতে পারে।
৫. আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ: একই বিছানা বা তোয়ালে ব্যবহার করলে একজনের শরীর থেকে অন্যজনের শরীরে কৃমি ছড়াতে পারে।
কখন বুঝবেন আপনার কৃমির ঔষধ খাওয়া প্রয়োজন? (লক্ষণসমূহ)
কৃমি থাকলে সবসময় লক্ষণ প্রকাশ পায় না। তবে নিচের উপসর্গগুলো দেখা দিলে বুঝতে হবে আপনার বা আপনার বাচ্চার পেটে কৃমি থাকতে পারে:
- পেটে ব্যথা: নাভির চারপাশে বা পেটের উপরিভাগে মাঝে মাঝে ব্যথা হওয়া।
- ক্ষুধামন্দা ও অরুচি: খাওয়ার প্রতি অনীহা, বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে।
- ওজন হ্রাস: পর্যাপ্ত খাওয়ার পরেও ওজন না বাড়া বা দিন দিন শরীর শুকিয়ে যাওয়া।
- পায়ুপথে চুলকানি: বিশেষ করে রাতের বেলা পায়ুপথে তীব্র চুলকানি হওয়া (এটি সুতা কৃমি বা Pinworm-এর প্রধান লক্ষণ)।
- বমি বমি ভাব: সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর বা খাওয়ার সময় বমি ভাব।
- রক্তশূন্যতা (Anemia): চেহারা ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া এবং দুর্বলতা অনুভব করা (হুকওয়ার্ম রক্ত চুষে খায় বলে এটি হয়)।
- কাশির সমস্যা: কিছু কৃমি ফুসফুসে চলে গেলে শুকনো কাশি হতে পারে।
- মলের সাথে কৃমি যাওয়া: অনেক সময় পায়খানার সাথে জীবন্ত বা মৃত কৃমি বের হতে দেখা যায়।
কৃমির ঔষধ কেন দরকার?
অনেকেই মনে করেন কৃমি হলে নিজে নিজেই ঠিক হয়ে যায়—এটি ভুল ধারণা।
কৃমি শরীর থেকে পুষ্টি চুরি করে এবং দেহে ক্ষতি করে। তাই কৃমির চিকিৎসা জরুরি। সঠিক সময়ে সঠিক ওষুধ না খেলে:
- রক্তশূন্যতা
- শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়া
- শিশুর বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া
- দীর্ঘমেয়াদি পেটের সমস্যা হতে পারে।
সঠিক কৃমির ওষুধ কৃমি দ্রুত মেরে ফেলে এবং শরীরকে সুরক্ষা দেয়।
কৃমির ঔষধ এর ধরন (বাংলাদেশে প্রচলিত ও নিরাপদ)
বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন নামের কৃমির ঔষধ পাওয়া যায়। তবে ডাক্তার হিসেবে আমরা মূলত ঔষধের জেনেরিক নাম (Generic Name) বা মূল উপাদানের ওপর ভিত্তি করে পরামর্শ দিই। বাংলাদেশে বহুল ব্যবহৃত কিছু কৃমির ঔষধের উপাদান হলো:
১. অ্যালবেনডাজল (Albendazole)
এটি সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং কার্যকরী কৃমির ঔষধ। এটি গোল কৃমি, বক্র কৃমি, সুতা কৃমি এবং ফিতা কৃমিসহ প্রায় সব ধরনের কৃমির বিরুদ্ধে কাজ করে।
- ব্র্যান্ড নাম: Zentel, Almex, Wormex ইত্যাদি
- ব্যবহার: সাধারণত এটি একটি চিবিয়ে খাওয়ার ট্যাবলেট (Chewable Tablet) বা সিরাপ হিসেবে পাওয়া যায়।
২. মেবেনডাজল (Mebendazole)
এটিও অ্যালবেনডাজলের মতোই কাজ করে। এটি কৃমিকে গ্লুকোজ শোষণ করতে দেয় না, ফলে কৃমি না খেয়ে মারা যায়।
- ব্র্যান্ড নাম: Vermox, Mebex ইত্যাদি
- ব্যবহার: এটিও ট্যাবলেট ও সিরাপ আকারে পাওয়া যায়।
৩. পাইরেন্টাল পামোয়েট (Pyrantel Pamoate)
এটি কৃমিকে প্যারালাইজড বা অবশ করে দেয়, ফলে কৃমি অন্ত্রের দেয়াল থেকে খসে পড়ে এবং মলের সাথে বেরিয়ে যায়।
- ব্র্যান্ড নাম: Combantrin
৪. ইভারমেকটিন (Ivermectin)
এটি সাধারণত কিছু বিশেষ ধরনের কৃমি এবং পরজীবীর জন্য ব্যবহার করা হয়। তবে এটি সাধারণ কৃমির জন্য প্রথম পছন্দ নয়।
কৃমির ঔষধ খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও ডোজ:
কৃমির ঔষধ খাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভুল হয় ডোজ এবং নিয়ম মানার ক্ষেত্রে। আসুন জেনে নিই সঠিক নিয়মগুলো:
১. প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ডোজ
প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সাধারণত অ্যালবেনডাজল ৪০০ মি.গ্রা. (Albendazole 400 mg) এর একটি ট্যাবলেট যথেষ্ট।
- কোর্স: এটি সাধারণত একটি সিঙ্গেল ডোজ (একবার খেলেই হয়)। তবে সংক্রমণের তীব্রতা বেশি হলে ডাক্তার ৭ দিন বা ১৪ দিন পর আরেকটি ডোজ খাওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন।
২. শিশুদের জন্য ডোজ
শিশুদের ক্ষেত্রে বয়স অনুযায়ী ডোজ পরিবর্তন হয়। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ২ বছরের নিচের শিশুকে ঔষধ খাওয়াবেন না।
- ১-২ বছর বয়স: সাধারণত ২০০ মি.গ্রা. (অর্ধেক ট্যাবলেট বা ১০ মিলি সিরাপ) দেওয়া হয়।
- ২ বছরের বেশি: প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই ৪০০ মি.গ্রা. বা পূর্ণ ডোজ দেওয়া হয়।
- সিরাপ না ট্যাবলেট: ছোট শিশুরা ট্যাবলেট গিলতে পারে না, তাই তাদের সিরাপ দেওয়াই নিরাপদ। আর যদি চিবিয়ে খাওয়ার ট্যাবলেট হয়, তবে গুঁড়ো করে পানিতে মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন।
৩. চিবিয়ে নাকি গিলে খাবেন?
অধিকাংশ কৃমির ঔষধ, বিশেষ করে অ্যালবেনডাজল, চিবিয়ে খাওয়া (Chewable) ভালো। চিবিয়ে খেলে এটি দ্রুত কাজ শুরু করতে পারে। তবে মেবেনডাজল বা অন্যান্য কিছু ট্যাবলেট পানি দিয়ে গিলে খাওয়ার নির্দেশনাও থাকতে পারে। তাই ঔষধের প্যাকেটের গায়ে লেখা নির্দেশনা বা ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন।
৪. খালি পেটে নাকি ভরা পেটে?
- কৃমির ঔষধ সব সময় ভরা পেটে বা ভারী কোনো খাবারের পর খাওয়া উচিত।
- খালি পেটে খেলে অনেকের পেটে জ্বালাপোড়া, বমি ভাব বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।
- অনেকে বলেন মিষ্টি খেয়ে ঔষধ খেতে। এটি জরুরি নয়, তবে মিষ্টি খাবার কৃমিকে আকৃষ্ট করে—এমন একটি ধারণা থেকে অনেকে এটি করেন। বৈজ্ঞানিকভাবে, ভরা পেটে এবং রাতে শোয়ার আগে ঔষধ খাওয়া সবচেয়ে উত্তম।
৫. ফ্যামিলি ডোজ (Family Dose) – এটি কেন জরুরি?
কৃমি অত্যন্ত ছোঁয়াচে। পরিবারের একজনের কৃমি হলে খুব সহজেই তা অন্যদের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে (একই টয়লেট, বিছানা বা থালাবাসন ব্যবহারের মাধ্যমে)।
- তাই নিয়ম হলো: পরিবারের একজন সদস্য কৃমির ঔষধ খেলে, সেই দিন একই সময়ে বাড়ির সবাইকে (শিশু থেকে বৃদ্ধ) ঔষধ খেতে হবে।
- কাজের মানুষ বা গৃহকর্মী থাকলে তাকেও একই সাথে ঔষধ খাওয়াতে হবে। তা না হলে একজন সুস্থ হলেও অন্যজনের কাছ থেকে আবার কৃমি ফিরে আসবে।
৬. কত দিন পর পর খাবেন?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) গাইডলাইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ কৃমিপ্রবণ এলাকা হওয়ায় এখানে প্রতি ৬ মাস পর পর (বছরে ২ বার) পরিবারের সবাইকে কৃমির ঔষধ খাওয়া উচিত। আপনি শীতের শুরুতে এবং বর্ষার শুরুতে একটি সময় ঠিক করে নিতে পারেন।
কৃমির ঔষধ খেলে কীভাবে কাজ করে?
কৃমির ঔষধ কৃমির নার্ভ সিস্টেমে আঘাত করে। ফলে কৃমি মারা যায় বা অন্ত্র থেকে বের হয়ে যায়। কয়েক দিনের মধ্যে উপসর্গ কমে আসে।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে কৃমির ঔষধ: বিশেষ সতর্কতা
এটি অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি বিষয়। অনেক গর্ভবতী মা কৃমির সমস্যায় ভোগেন কিন্তু ঔষধ খেতে ভয় পান।
- গর্ভাবস্থায় (Pregnancy): গর্ভাবস্থার প্রথম ৩ মাস (First Trimester) কৃমির ঔষধ খাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কারণ এই সময় ভ্রূণের গঠন হয় এবং ঔষধের প্রভাবে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে। ৩ মাসের পর (দ্বিতীয় বা তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে) যদি খুব প্রয়োজন হয়, তবে ডাক্তার মেবেনডাজল বা অন্য নিরাপদ ঔষধ দিতে পারেন। তবে কখনোই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া গর্ভবতী অবস্থায় কৃমির ঔষধ খাবেন না।
- স্তন্যদানকালে (Breastfeeding): স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য কৃমির ঔষধ সাধারণত নিরাপদ। তবে খাওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে কথা বলে নেওয়া ভালো।
কৃমির ঔষধ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (Side Effects)
কৃমির ঔষধ সাধারণত নিরাপদ এবং এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুব কম। তবে ঔষধ খাওয়ার পর শরীরে কিছু সাময়িক সমস্যা দেখা দিতে পারে:
১. বমি বমি ভাব বা বমি: ঔষধ খাওয়ার পর পেটে অস্বস্তি হতে পারে।
২. পেট ব্যথা: কৃমি যখন মারা যেতে শুরু করে বা নড়াচড়া করে, তখন পেটে হালকা মোচড় দিতে পারে।
৩. মাথা ঘোরা: কারো কারো হালকা মাথা ঘুরতে পারে।
৪. ডায়রিয়া: মৃত কৃমি বের হওয়ার সময় পাতলা পায়খানা হতে পারে।
৫. হারক্সহেইমার রিঅ্যাকশন (Herxheimer Reaction): অনেক সময় পেটে প্রচুর কৃমি থাকলে ঔষধ খাওয়ার পর মৃত কৃমিগুলো থেকে টক্সিন বের হয়, যার ফলে জ্বর বা শরীরে র্যাশ হতে পারে। এতে ভয়ের কিছু নেই, এটি প্রমাণ করে যে ঔষধ কাজ করছে।
ঔষধ ছাড়াও যা করতে হবে: প্রতিরোধ ব্যবস্থা
শুধুমাত্র ঔষধ খেয়ে কৃমি দূর করা সম্ভব নয়, যদি না আপনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন। ঔষধ কৃমি মারে, কিন্তু কৃমির ডিম মারে না। পুনরায় সংক্রমণ ঠেকাতে নিচের নিয়মগুলো মানা বাধ্যতামূলক:
১. নখ ছোট রাখা: কৃমির ডিম নখের ভেতরে লুকিয়ে থাকে। তাই নিয়মিত হাত ও পায়ের নখ ছোট রাখতে হবে।
২. হাত ধোয়া: খাওয়ার আগে এবং টয়লেট ব্যবহারের পর সাবান দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড হাত ধুতে হবে।
৩. জুতো পরা: বাথরুমে যাওয়ার সময় এবং ঘরের বাইরে অবশ্যই স্যান্ডেল বা জুতো পরতে হবে।
৪. বিছানা পরিষ্কার: ঔষধ খাওয়ার পরের দিন বাড়ির সবার বিছানার চাদর, বালিশের কাভার এবং ব্যবহৃত তোয়ালে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে লেগে থাকা কৃমির ডিম মারা যাবে।
৫. অন্তর্বাস পরিষ্কার: বিশেষ করে শিশুদের সুতা কৃমি থাকলে তাদের অন্তর্বাস প্রতিদিন গরম পানিতে ধুয়ে কড়া রোদে শুকাতে হবে।
৬. খাবার ও পানি: পানি ফুটিয়ে বা ফিল্টার করে পান করুন। শাকসবজি ও সালাদ খাওয়ার আগে খুব ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
কৃমি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর (FAQ):
মিষ্টি বা চিনি বেশি খেলে কি কৃমি হয়?
দাঁত কটকট করলেই কি কৃমি হয়েছে?
কৃমির ঔষধ খেলে কি কৃমি পায়খানার সাথে বের হতেই হবে?
উপসংহার:
কৃমি আমাদের অন্ত্রের নীরব শত্রু। এটি শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত করে এবং বড়দের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই কৃমিকে অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই।
নিয়মিত (প্রতি ৬ মাস অন্তর) পরিবারের সবাই মিলে কৃমির ঔষধ খান। তবে মনে রাখবেন, ঔষধের চেয়েও জরুরি হলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে আজই সচেতন হোন। যদি ঔষধ খাওয়ার পরেও লক্ষণ না কমে, তবে অবশ্যই একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ বা শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
সুস্থ থাকুন, নিরাপদে থাকুন।
(বিঃদ্রঃ এই ব্লগটি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। এটি কোনোভাবেই সরাসরি ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনের বিকল্প নয়। কোনো ঔষধ গ্রহণের আগে রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়।)


