২ বছরের বাচ্চাদের কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম

২ বছরের বাচ্চাদের কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম কি?

বাচ্চাদের স্বাস্থ্য নিয়ে বাবা-মায়ের চিন্তার শেষ নেই। বিশেষ করে বাংলাদেশে বা এই উপমহাদেশে শিশুদের পেটে কৃমি হওয়া একটি খুব সাধারণ সমস্যা। অনেক সময় দেখা যায়, বাচ্চাকে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানোর পরেও তার ওজন বাড়ছে না বা সে দুর্বল হয়ে পড়ছে। এর পেছনের অন্যতম প্রধান কারণ হতে পারে পেটে কৃমির উপস্থিতি।

বিশেষ করে বাচ্চার বয়স যখন ২ বছর বা তার বেশি হয়, তখন তারা নিজেরা হাঁটতে শেখে, মাটির সংস্পর্শে আসে এবং হাতের কাছে যা পায় তাই মুখে দেওয়ার চেষ্টা করে। ফলে এই বয়সে কৃমি সংক্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে।
কিন্তু সুখবর হলো—সঠিক সময়ে এবং সঠিক নিয়মে কৃমির ওষুধ দিলে শিশু খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়।

শিশুদের কেন কৃমি হয়? (Why do children get worms?)

কৃমি হলো এক ধরনের পরজীবী (Parasite), যা মানুষের অন্ত্রে বাস করে এবং শরীর থেকে পুষ্টি চুষে নেয়। শিশুদের কৃমি হওয়ার প্রধান কারণগুলো হলো:

১. অপরিচ্ছন্নতা: শিশুরা খেলার ছলে মাটিতে হাত দেয়, ধুলাবালিতে খেলে এবং সেই হাত না ধুয়েই মুখে দেয় বা খাবার খায়।
২. দুষিত পানি ও খাবার: ভালোভাবে ধোয়া হয়নি এমন শাকসবজি, ফলমূল বা দুষিত পানি পান করলে কৃমির ডিম পেটে চলে যায়।
৩. খালি পায়ে হাঁটা: কিছু কৃমি (যেমন বক্রকৃমি বা Hookworm) মাটির সংস্পর্শে আসা খালি পায়ের চামড়া ভেদ করে শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
৪. আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ: কৃমি ছোঁয়াচে হতে পারে। আক্রান্ত বাচ্চার বিছানা, নখ বা খেলনা থেকেও অন্য বাচ্চার শরীরে এটি ছড়াতে পারে।

২ বছরের বাচ্চার কৃমি হয়েছে কিনা বুঝবেন কীভাবে? (লক্ষণসমূহ)

অনেক সময় কৃমি থাকলেও বাইরে থেকে কোনো লক্ষণ বোঝা যায় না। তবে কিছু সাধারণ উপসর্গ দেখে আপনি ধারণা করতে পারেন যে আপনার বাচ্চার পেটে কৃমি আছে:

  • ক্ষুধামন্দা ও অরুচি: বাচ্চার খাওয়ার প্রতি তীব্র অনীহা দেখা দেয়।
  • পেটে ব্যথা: বাচ্চা প্রায়ই পেটের মাঝখানে ব্যথার কথা বলতে পারে বা পেট কামড়ানোর অভিযোগ করতে পারে।
  • ওজন না বাড়া: পর্যাপ্ত খাওয়ার পরেও বাচ্চার ওজন বাড়ে না, বরং দিন দিন শুকিয়ে যায়।
  • পায়ুপথে চুলকানি: বিশেষ করে রাতের বেলা বাচ্চার পায়ুপথে তীব্র চুলকানি হতে পারে (এটি সুতা কৃমি বা Pinworm-এর প্রধান লক্ষণ)।
  • খিটখিটে মেজাজ: ঘুমের ব্যাঘাত ঘটার কারণে বাচ্চার মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।
  • রক্তশূন্যতা: দীর্ঘদিন কৃমি থাকলে বাচ্চার শরীরে রক্তের হিমোগ্লোবিন কমে যায়, ফলে চেহারা ফ্যাকাসে দেখায় এবং দুর্বলতা দেখা দেয়।
  • বমি বমি ভাব: সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর বা খাওয়ার সময় বমি বমি ভাব হতে পারে।

(দ্রষ্টব্য: অনেকে মনে করেন বাচ্চারা দাঁত কটকট করলেই কৃমি হয়েছে, এটি সব সময় সত্য নয়। দাঁত কটকট করার অন্য কারণও থাকতে পারে।)

২ বছরের বাচ্চাদের জন্য কোন কৃমির ওষুধ নিরাপদ?

বাংলাদেশে ২ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ ও ব্যবহৃত কৃমির ওষুধগুলো হলো—

১. Albendazole (অ্যালবেনডাজোল ৪০০ mg)

  • ২ বছর বয়স থেকে নিরাপদ

  • এক ডোজই যথেষ্ট

২. Mebendazole (মেবেনডাজোল ৫০০ mg বা ১০০ mg)

  • সাধারণত এক ডোজ ৫০০ mg

  • অথবা ১০০ mg করে ২ বার দিনে—৩ দিন

৩. Pyrantel Pamoate (সাসপেনশন)

  • যারা চিবাতে পারে না বা ট্যাবলেট খেতে পারে না, তাদের জন্য

  • খুবই নিরাপদ

সাধারণত সরকারি প্রোগ্রামে Albendazole ব্যবহার করা হয়।

২ বছরের বাচ্চাদের কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম:

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশিকা অনুযায়ী, নির্দিষ্ট বয়স থেকে শিশুদের নিয়মিত কৃমির ঔষধ খাওয়ানো উচিত। ২ বছর বা তার বেশি বয়সী বাচ্চাদের জন্য নিয়মগুলো নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

১. বয়স ও ডোজ (Age and Dosage)

সাধারণত ১ বছরের পর থেকেই কৃমির ঔষধ দেওয়া যায়, তবে ডোজ বা মাত্রা বয়সের ওপর নির্ভর করে।

  • ২ বছর বা তার বেশি বয়সী বাচ্চাদের জন্য: সাধারণত অ্যালবেনডাজল (Albendazole – 400 mg) অথবা মেবেনডাজল (Mebendazole – 500 mg) এর একটি পূর্ণ ডোজ দেওয়া হয়।
  • এটি সাধারণত একটি সিঙ্গেল ডোজ (একবার খেলেই হয়)। তবে সংক্রমণের তীব্রতা বুঝে ডাক্তার কখনো কখনো ৩ দিন বা ১ সপ্তাহ পর আরেকটি ডোজ দিতে বলতে পারেন।

২. ঔষধ খাওয়ার সময় (Timing)

  • খাবারের পরে: কৃমির ঔষধ সবসময় ভরপেটে বা ভারী নাস্তার পর খাওয়ানো উচিত। খালি পেটে খাওয়ালে বাচ্চার পেটে গ্যাস, বমি বমি ভাব বা অস্বস্তি হতে পারে।
  • রাতের বেলা: অনেক ডাক্তার রাতের খাবারের পর ঔষধটি খাওয়ানোর পরামর্শ দেন, যাতে ঔষধটি সারারাত অন্ত্রে কাজ করতে পারে এবং সকালে মলত্যাগের মাধ্যমে কৃমি বেরিয়ে যেতে পারে।

৩. ট্যাবলেট না সিরাপ? (Tablet vs Syrup)

  • ২ বছরের বাচ্চারা সাধারণত ট্যাবলেট চিবিয়ে খেতে পারে না। তাই তাদের জন্য সিরাপ (Suspension) সবচেয়ে ভালো।
  • যদি চিবিয়ে খাওয়ার মতো ট্যাবলেট (Chewable Tablet) হয় এবং বাচ্চা চিবিয়ে খেতে পারে, তবে ট্যাবলেট গুঁড়ো করে পানির সাথে মিশিয়েও খাওয়ানো যেতে পারে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন ঔষধের সম্পূর্ণ অংশ বাচ্চা খেয়ে ফেলে।

৪. কত দিন পর পর খাওয়াবেন? (Frequency)

  • বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী, কৃমিপ্রবণ দেশগুলোতে (যেমন বাংলাদেশ) প্রতি ৬ মাস অন্তর (বছরে ২ বার) পরিবারের সবাইকে কৃমির ঔষধ খাওয়া উচিত।
  • আপনি একটি নির্দিষ্ট সময় ঠিক করে নিতে পারেন। যেমন: গ্রীষ্মের শুরুতে এবং শীতের শুরুতে।

৫. পরিবারের সবাই একসাথে (Family Dose)

এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম। আপনি যদি শুধু বাচ্চাকে ঔষধ খাওয়ান কিন্তু পরিবারের বাকিরা না খায়, তবে বাচ্চার কৃমি ভালো হবে না। কারণ বাবা-মা বা অন্য সদস্যদের থেকে বাচ্চা আবার সংক্রমিত হবে। তাই একই দিনে পরিবারের সকল সদস্যকে (বড় ও ছোট) কৃমির ঔষধ খেতে হবে।

কৃমির ঔষধ খাওয়ানোর আগে ও পরে সতর্কতা:

ঔষধ খাওয়ানোর সময় কিছু বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে:

১. অসুস্থ অবস্থায় খাওয়াবেন না: বাচ্চার যদি জ্বর, ডায়রিয়া বা অন্য কোনো গুরুতর অসুস্থতা থাকে, তবে সেই মুহূর্তে কৃমির ঔষধ খাওয়াবেন না। বাচ্চা সুস্থ হলে তারপর খাওয়ান।
২. পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানুন: কৃমির ঔষধ খুব নিরাপদ। তবে খাওয়ার পর কারো কারো হালকা বমি ভাব, মাথা ঘোরা বা পেটে মোচড় দিতে পারে। এটি ভয়ের কিছু নয়, কিছুক্ষণের মধ্যেই ঠিক হয়ে যায়।
৩. ডাক্তারের পরামর্শ: যদিও কৃমির ঔষধ ওভার-দ্য-কাউন্টার (প্রেসক্রিপশন ছাড়া) পাওয়া যায়, তবুও ২ বছরের বাচ্চার ক্ষেত্রে বাচ্চার ওজন এবং স্বাস্থ্যের অবস্থা বুঝে একজন শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে ডোজ ঠিক করা সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।

নিম্নলিখিত সমস্যা হলে অবশ্যই ডাক্তার দেখান—

  • অতিরিক্ত বমি

  • মারাত্মক পেট ব্যথা

  • শিশুর অবস্থা খারাপ মনে হলে

কৃমির ঔষধ কখন খাওয়াতে হবে?

  • কৃমির ওষুধ যেকোনো সময় খাওয়ানো যায়

  • খাবারের আগে বা পরে—দুটোই চলবে

  • তবে সাধারণত রাতে ঘুমের আগে খাওয়ানো সবচেয়ে ভালো

কৃমির ঔষধ কতদিন পর আবার খাওয়াতে হবে?

বিশেষজ্ঞদের মতে—

৬ মাস অন্তর একবার কৃমির ওষুধ খাওয়ানো উচিত
✔ ছয় মাস পর আবার ১ ডোজ

কারণ একবার ওষুধে বড় কৃমিগুলো মারা গেলেও, ডিম থেকে নতুন কৃমি তৈরি হতে পারে। তাই প্রতি ৬ মাসে ওষুধ খাওয়ানো প্রয়োজন।

কৃমি প্রতিরোধের ঘরোয়া ও স্বাস্থ্যবিধি (Hygiene Tips)

শুধুমাত্র ঔষধ খাইয়ে কৃমি দূর করা সম্ভব নয়, যদি না আপনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন। কৃমিমুক্ত থাকতে নিচের অভ্যাসগুলো গড়ে তুলুন:

  • হাত ধোয়ার অভ্যাস: বাচ্চাকে খাওয়ার আগে এবং টয়লেট ব্যবহারের পর সাবান দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়া শেখান।
  • নখ ছোট রাখা: বাচ্চাদের হাতের নখ নিয়মিত কেটে ছোট রাখুন। বড় নখের ভেতরে কৃমির ডিম লুকিয়ে থাকে, যা খাওয়ার সময় পেটে চলে যায়।
  • খালি পায়ে হাঁটা বন্ধ: বাচ্চাকে ঘরের বাইরে বা এমনকি ঘরের ভেতরেও (যদি ফ্লোর অপরিচ্ছন্ন থাকে) জুতো বা স্যান্ডেল পরার অভ্যাস করান।
  • নিরাপদ পানি ও খাবার: বাচ্চাকে সবসময় ফোটানো বা বিশুদ্ধ পানি পান করান। শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়ার আগে খুব ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
  • স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট: বাচ্চাকে স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ব্যবহারে অভ্যস্ত করুন এবং যেখানে-সেখানে মলত্যাগ করা থেকে বিরত রাখুন।
  • বিছানা ও পোশাক: বাচ্চার বিছানার চাদর, বালিশের কাভার এবং অন্তর্বাস নিয়মিত গরম পানি দিয়ে ধোয়া উচিত, বিশেষ করে যদি বাচ্চার সুতা কৃমি (Pinworm) থাকে।

শিশুর কৃমির ওষুধ—কিছু ভুল ধারণা

সমাজে কৃমি নিয়ে অনেক ভুল ধারণা বা কুসংস্কার প্রচলিত আছে। আসুন জেনে নিই সত্যটা কী:

❌ ১. কৃমির ওষুধ ক্ষতিকর—এটি ভুল

বরং না দিলে বেশি ক্ষতি হয়।

❌ ২. বছরে একবার দিলেই হয়—এটি ভুল

সঠিক নিয়ম হলো ৬ মাসে একবার

❌ ৩. শিশু খায় না তাই ওষুধ দেবো না—ভুল

অধিকাংশ শিশুর না খাওয়ার কারণই কৃমি।

❌ ৪. ভাঙা ট্যাবলেট ক্ষতি করে—না

ভেঙে বা মিশিয়ে খাওয়ানো যায়।

❌ ৫. মিষ্টি খেলে কৃমি হয়—এটি ভুল

মিষ্টি বা চিনি সরাসরি কৃমি তৈরি করে না। তবে কৃমি থাকলে তারা চিনি জাতীয় খাবার বেশি পছন্দ করে, ফলে বাচ্চার মিষ্টি খাওয়ার আগ্রহ বাড়তে পারে। অপরিচ্ছন্ন হাতে মিষ্টি খেলে সংক্রমণ হতে পারে, কিন্তু মিষ্টি নিজেই কৃমি জন্ম দেয় না।

৬. কৃমির ঔষধ খেলে বাচ্চা দুর্বল হয়ে যায়—এটি ভুল

কৃমি বাচ্চার পুষ্টি খেয়ে ফেলে তাকে দুর্বল করে দেয়। কৃমির ঔষধ কৃমি মেরে বাচ্চাকে সুস্থ ও সবল হতে সাহায্য করে।

২ বছরের বেশি বয়সী বাচ্চার জন্য Albendazole ডোজ (সরকারি নির্দেশনা)

  • ১টি ট্যাবলেট = 400 mg

  • মাত্র ১ ডোজ

  • ৬ মাস পর পুনরায় ১ ডোজ

সরকারি স্কুলে যে ট্যাবলেট দেওয়া হয় সেটিও একই।

ডাক্তারের পরামর্শ (গুরুত্বপূর্ণ)

২ বছরের শিশুর কৃমির ওষুধ দেয়ার আগে কিছু নির্দেশনা মনে রাখা খুব জরুরি—

১. যদি শিশুর জ্বর, ঠান্ডা বা সর্দি থাকে—ওষুধ দিতে কোনো সমস্যা নেই

Albendazole এসব ক্ষেত্রে নিরাপদ।

২. যদি শিশু অ্যালার্জি প্রবণ হয়—ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলুন

৩. যদি শিশুর খাওয়ার সমস্যা বা বমির সমস্যা থাকে—রাতে খাওয়ান

৪. খুব দুর্বল বা অপুষ্ট শিশুকে ওষুধ দেওয়ার আগে চেকআপ করা ভালো

কৃমি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর (FAQ):

২ বছরের শিশুকে কি কৃমির ওষুধ দেওয়া নিরাপদ?

হ্যাঁ, Albendazole ও Mebendazole সম্পূর্ণ নিরাপদ।

শিশুকে ঘন ঘন কৃমির ওষুধ দিতে হবে?

৬ মাসে একবারই যথেষ্ট।

শিশুর কৃমি হলে কত দিনে ভাল হবে?

ওষুধ খাওয়ানোর ৩–৭ দিনের মধ্যে উন্নতি দেখা যায়।

কৃমির ওষুধ কি খালি পেটে খাওয়ানো যায়?

হ্যাঁ, সমস্যা নেই। তবে খাবারের পরে দিলে শিশুর আরাম হয়।

উপসংহার:

প্রিয় অভিভাবক, ২ বছরের বাচ্চার কৃমির ঔষধ খাওয়ানো নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এটি একটি রুটিন বা নিয়মিত স্বাস্থ্য পরিচর্যার অংশ। কৃমি বাচ্চার শারীরিক ও মানসিক বিকাশে বাধা সৃষ্টি করতে পারে, তাকে রক্তশূন্যতায় ভোগাতে পারে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে।

তাই অবহেলা না করে, প্রতি ৬ মাস অন্তর ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক ডোজে বাচ্চাকে এবং পরিবারের সবাইকে কৃমির ঔষধ খাওয়ান। মনে রাখবেন, “সুস্থ শিশু, হাসিখুশি পরিবার।” পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং সঠিক সময়ে ঔষধ গ্রহণই আপনার সন্তানকে কৃমিমুক্ত রাখার চাবিকাঠি।

(বিঃদ্রঃ এই ব্লগটি সাধারণ তথ্যের জন্য লেখা হয়েছে। আপনার সন্তানের নির্দিষ্ট কোনো শারীরিক জটিলতা বা অ্যালার্জি থাকলে ঔষধ খাওয়ানোর আগে অবশ্যই রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।)

Scroll to Top